আজ থেকে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

আজ থেকে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

ঢাকা | ২৯ মে ২০২৫
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সহ-সভাপতি রিপনুল হাসানকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার (২৯ মে) থেকে সারাদেশে সব জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। এই সিদ্ধান্তের ফলে ঢাকাসহ দেশের প্রতিটি জেলার স্বর্ণালঙ্কারের দোকান আজ থেকে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে।

গ্রেফতারের পর ক্ষোভে ফুঁসছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা

গতকাল বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার অন্যতম স্বর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র তাঁতীবাজারে অবস্থিত নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে রিপনুল হাসানকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে কী অভিযোগে তাকে আটক করা হয়েছে সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। বাজুস নেতারা একে "অবৈধ এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত" উল্লেখ করে অবিলম্বে রিপনুল হাসানের মুক্তি দাবি করেন।

রাজধানীর শোরুমগুলো তালাবদ্ধ, কর্মসূচি আরও তীব্র হতে পারে

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন স্বর্ণ ব্যবসা কেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, শোরুমগুলোর বেশিরভাগই বন্ধ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের আশপাশের জুয়েলারি দোকানগুলোতেও ঝুলছে তালা। দোকান কর্মচারিরা জানান, মালিকদের নির্দেশেই তারা শোরুম খুলছেন না।

ঢাকা জুয়েলার্স সমিতির একজন সিনিয়র সদস্য বলেন,

“আমাদের সহ-সভাপতিকে যেভাবে তুলে নেওয়া হয়েছে, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের দাবি আদায় না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে, প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।”

অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে

স্বর্ণ ব্যবসা দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাত। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণে বিয়ে, গয়নাগাটার কাজ ও বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণ কেনাবেচা হয়ে থাকে। ধর্মঘট চলতে থাকলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সাধারণ ক্রেতা, বিনিয়োগকারী এবং অর্থনীতিতেও।

বাজুস নেতারা বলেছেন, ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা ও ন্যায্যতার স্বার্থে তারা আইনগত ও সাংগঠনিক উভয় দিক থেকেই প্রস্তুত। তবে সমাধানের জন্য সরকারের সদিচ্ছাও তারা প্রত্যাশা করছেন।