১২ দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন ট্রাম্প
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার কেন্দ্রে। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তিনি জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় তিনি ১২টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন—যদি তিনি ২০২4 সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হন।
কোন দেশগুলো নিষেধাজ্ঞার আওতায়?
যদিও তিনি সব দেশের নাম স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি, তবে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই দেশগুলো মূলত মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। ২০১৭ সালেও তিনি প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ছয়টি মুসলিম দেশের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন, যাকে তখন “Muslim Ban” বলে আখ্যা দেওয়া হয়।
ট্রাম্পের ব্যাখ্যা
এক বক্তৃতায় তিনি বলেন,
“আমরা এমন দেশের নাগরিকদের ঢুকতে দিতে পারি না, যারা আমাদের মূল্যবোধকে অপমান করে বা যাদের মধ্যে উগ্রবাদ ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে।”
তিনি আরও দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রে চোরাইপথে অভিবাসন ও নিরাপত্তার হুমকি রোধ করতেই এই ধরনের কঠোর ব্যবস্থা প্রয়োজন।
সমালোচনা ও প্রতিক্রিয়া
ট্রাম্পের এ ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
ACLU এবং Human Rights Watch বলছে, এই নিষেধাজ্ঞা “বর্ণবাদী ও বৈষম্যমূলক” এবং এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যায়।
এদিকে ডেমোক্রেট দল একে “ভয় ও বিভাজনের রাজনীতি” বলে উল্লেখ করেছে।
তারা বলছে, অভিবাসীদের প্রতি ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি আমেরিকার বহুত্ববাদী ঐতিহ্যের পরিপন্থী।
সারসংক্ষেপে, ট্রাম্পের এই ঘোষণাটি আগামী নির্বাচনের আগে অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যুকে ঘিরে বিতর্ক আরও জোরালো করবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
0 Comments