Header Ads Widget

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ

ঈদের ছুটিতে চট্টগ্রাম ছাড়ছেন ঘরমুখো মানুষ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। সেই ছুটিকে ঘিরে প্রিয়জনের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান শহর চট্টগ্রাম থেকে নাড়ির টানে গ্রামে ছুটে যাচ্ছেন হাজারো মানুষ।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই নগরীর বিমানবন্দর, রেলস্টেশন, কোতোয়ালি ও বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন যানবাহন কেন্দ্রগুলোতে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেন, বাস এবং লঞ্চ—সব পরিবহন মাধ্যমেই যাত্রীদের ব্যাপক চাপ পড়েছে।

রেলস্টেশন জুড়ে হাহাকার

চট্টগ্রাম রেলস্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও তা চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। অনেক যাত্রী স্ট্যান্ডিং টিকিট নিয়ে দাঁড়িয়েই যাচ্ছেন দূরপাল্লার জেলায়। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে টিকিট পাচ্ছেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।

নগরীর আগ্রাবাদ থেকে আসা যাত্রী সামিউল হোসেন বলেন,

“ট্রেনেই যাওয়ার চিন্তা করেছিলাম, কিন্তু টিকিট পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে বাসে যাচ্ছি — যদিও ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ নিচ্ছে।”

বাস টার্মিনালে অতিরিক্ত ভাড়া ও যাত্রীর চাপ

বহদ্দারহাট ও কর্ণফুলী বাস টার্মিনালে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইনের পাশাপাশি ভাড়া বাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাধারণ সময়ে যেসব রুটে ৫০০ টাকা ভাড়া, এখন সেখানে নেওয়া হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা পর্যন্ত।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও বিআরটিএ’র ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত ভাড়া আদায় রোধে অভিযান চালাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক জিয়াউল হক।

বিমানবন্দরে বাড়তি ফ্লাইট, তবু মিলছে না সিট

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেও ঈদ ঘিরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট সংখ্যা কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু চাহিদা অনুযায়ী টিকিট না পাওয়ায় অনেকেই বিমানে যাত্রার আশা বাদ দিয়েছেন।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরীর প্রধান মোড় ও টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং, যাত্রীদের জন্য পানি ও মেডিকেল সহায়তা কেন্দ্রও চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) হাসান রুবেল।

ঘরে ফেরা মানেই আনন্দ

নগরজীবনের ক্লান্তি ভুলে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের তাড়নায় ঘরমুখো মানুষ সব ভোগান্তি ভুলে বাড়ির পথ ধরেছেন। যাত্রীদের চোখে-মুখে শুধুই অপেক্ষা— ‘কখন পৌঁছাবো মায়ের কাছে, পরিবারের কাছে।’


 

Post a Comment

0 Comments