বাণিজ্যিক কাঠামো তৈরিতে নীতিগতভাবে একমত চীন-যুক্তরাষ্ট্র

বাণিজ্যিক কাঠামো তৈরিতে নীতিগতভাবে একমত চীন-যুক্তরাষ্ট্র

🔶 বাণিজ্যিক কাঠামো তৈরিতে নীতিগতভাবে একমত চীন-যুক্তরাষ্ট্র

বিশ্বের দুই বৃহৎ অর্থনৈতিক পরাশক্তি চীন ও যুক্তরাষ্ট্র অবশেষে একটি নতুন বাণিজ্যিক কাঠামো তৈরির বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর উভয় দেশ এই সমঝোতায় পৌঁছায়, যা ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় ও ভারসাম্যপূর্ণ করে তুলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

🔹 আলোচনার প্রেক্ষাপট:

গত কয়েক বছর ধরে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ, শুল্ক আরোপ, প্রযুক্তিগত নিষেধাজ্ঞা এবং সরবরাহ শৃঙ্খলে টানাপোড়েন বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দু’দেশই স্থিতিশীলতা ও বোঝাপড়ার পথ খুঁজতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

🔹 বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে?

চীনের বাণিজ্যমন্ত্রী ওয়াং ওয়েনটাও এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন টাই-এর মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় উঠে আসে:

• বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা

• টেকনোলজি ট্রান্সফার ও মেধাস্বত্ব সুরক্ষা

• বাজারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধি

• নিষ্পত্তিমূলক সংলাপের ব্যবস্থা গড়ে তোলা

দুই পক্ষই স্বীকার করেছে, রাজনৈতিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও বাণিজ্যিক স্বার্থে একটি কার্যকর কাঠামো প্রয়োজন।

🔹 চীনের বক্তব্য:

চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “এই কাঠামো ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থিতিশীল, সুশৃঙ্খল ও সহযোগিতামূলক বাণিজ্যিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে।”

🔹 যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া:

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, “আমরা স্বচ্ছতা, জবাবদিহি এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার পক্ষে। এই কাঠামোর মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও ইতিবাচক ধারায় এগোবে।”

🔹 বিশ্লেষকদের মত:

বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খল পুনর্গঠন এবং জিও-ইকোনমিক উত্তেজনার সময় এই ধরনের পদক্ষেপকে বিশ্লেষকরা দেখছেন একটি গঠনমূলক পরিবর্তন হিসেবে। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে উভয় দেশ নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারবে।