সিলেটের জকিগঞ্জে এখনও ঢুকছে পানি, পানিবন্দি বহু পরিবার
সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। বরং সীমান্তবর্তী নদনদীর পানি বাড়তে থাকায় নতুন করে প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। এখনও পানি ঢুকছে বিভিন্ন গ্রামে, পানিবন্দি হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় ও আসাম রাজ্যের পাহাড়ি ঢল ও টানা বর্ষণের কারণে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা, সুরমা ও ছোট ছোট খাল-নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামীণ রাস্তাঘাট, বাড়িঘর, ফসলি জমি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকেছে।
চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা
জকিগঞ্জের কৈয়ারগড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা রহিম মিয়া বলেন, “গত তিন দিন ধরে বাড়ির ভেতরে হাঁটু পানি। রান্না করা যাচ্ছে না, ছোট ছেলেমেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ত্রাণ এখনও পাইনি।”
পানিবন্দি পরিবারগুলো নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে উচ্চভূমির দিকে সরে যাচ্ছে। অনেক পরিবার স্থানীয় স্কুল, মসজিদ ও বাঁধের ওপর আশ্রয় নিয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের প্রস্তুতি
জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্লাবিত এলাকাগুলোর তালিকা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে কিছু পরিবারকে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। প্রতিটি ইউনিয়নে মনিটরিং টিম কাজ করছে। খুব দ্রুত আরও ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে।”
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর পানি এখনও বিপদসীমার ১৫-২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে।
চিকিৎসা ও বিশুদ্ধ পানির সংকট
বন্যার পানিতে আক্রান্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে দূষিত পানি ব্যবহার করছে, যা থেকে পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
0 Comments