ঈদের ছুটিতে শেকড়ের টানে ভিড় সদরঘাটে, নিরাপত্তায় কড়াকড়ি
পরিবারের সঙ্গে ঈদুল আযহার আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সৃষ্টি হয়েছে ঘরমুখো মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকেই লঞ্চ টার্মিনালজুড়ে মানুষের স্রোত লক্ষ্য করা গেছে। পন্টুন থেকে শুরু করে লঞ্চের ছাদ পর্যন্ত যাত্রীতে ঠাসা। যাত্রীদের চোখেমুখে ঈদের উচ্ছ্বাস, আর হৃদয়ে শেকড়ের টান।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে টানা ১০ দিনের ঈদের ছুটি। ফলে আজ বুধবারই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শেষ কর্মদিবস। অফিস শেষ করে বিকেলের দিক থেকেই হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন সদরঘাটে। রাজধানীর সড়ক ও রেলপথের মতো নদীপথেও চলছে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা।
পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনায় সন্তুষ্ট যাত্রীরা
ঘাটে দেখা গেছে, যাত্রীদের ভিড় থাকলেও এবার ঈদ উপলক্ষে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা আগের চেয়ে উন্নত। যাত্রীরা জানান, এবার সদরঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি অনেক বেশি শৃঙ্খলাপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা এবং লঞ্চ সার্ভিস পরিচালনায় দৃশ্যমান উন্নতি তারা স্বীকার করেন।
নড়াইলগামী যাত্রী সোহেল মিয়া বলেন, “এতো ভিড়ের মাঝেও ঠিকঠাকভাবে লঞ্চে উঠতে পেরেছি। নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভালো। ঈদের সময় এমন পরিবেশ পেয়ে স্বস্তি লাগছে।”
আরেক যাত্রী রুমানা আক্তার বলেন, “ছুটি লম্বা হওয়ায় এবার ঈদের আনন্দটা অনেক বেশি। পরিবারের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারবো—এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া।”
নিরাপত্তায় যৌথ বাহিনী, বিআইডব্লিউটিএ’র কড়া নজরদারি
বিআইডব্লিউটিএ’র তত্ত্বাবধানে সদরঘাটে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রতিটি পন্টুনে নিয়মিত টহল চালানো হচ্ছে।
বিশেষ নজরদারির অংশ হিসেবে ঘাটজুড়ে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। পন্টুনে যাত্রীদের শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মাইকিং ও স্বেচ্ছাসেবক টিমও কাজ করছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র এক কর্মকর্তা জানান, “যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছি। প্রতিটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে।”
0 Comments