Header Ads Widget

সরকারি চাকরিজীবীরা ১০–১৫ শতাংশ ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন

সরকারি চাকরিজীবীরা ১০–১৫ শতাংশ ‘বিশেষ সুবিধা’ পাবেন

মূল বেতনের উপর ভিত্তি করে প্রস্তাবিত ভাতা, নতুন বাজেটেই ঘোষণা আসতে পারে

২০২৪–২৫ অর্থবছরের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর আসতে চলেছে। দেশের প্রায় ১৪ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য প্রস্তাব করা হচ্ছে মূল বেতনের উপর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা বা ভাতা। এটি চলতি বছরের বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করা হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।

এই বিশেষ সুবিধাটি মূলত মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি মোকাবিলায় সাময়িক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হবে। ২০১৫ সালের পর থেকে নতুন কোনও জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা না হওয়ায় সরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবি উঠছিল। এই প্রেক্ষাপটে সরকার অস্থায়ী ভিত্তিতে এই বিশেষ ভাতা চালু করার পরিকল্পনা নিচ্ছে।

কারা পাবেন এই সুবিধা?

  • সরকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারী

  • শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসহ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরাও

  • পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অন্তর্ভুক্ত

  • রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানেও এই সুবিধা কার্যকর হতে পারে

এটি কি স্থায়ী সুবিধা?

না। এটি অস্থায়ী ‘বিশেষ ভাতা’ হিসেবে বিবেচিত হবে। সরকার নতুন পে-স্কেল কার্যকর না করা পর্যন্ত এটি চালু থাকবে। নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর হলে এই ভাতার বিষয়টি পর্যালোচনায় আসবে।

সরকারি ব্যয় কত বাড়বে?

আনুমানিক হিসেব অনুযায়ী, যদি প্রতিজন সরকারি কর্মচারী গড়ে ৮ থেকে ১২ হাজার টাকা বাড়তি ভাতা পান, তবে সরকারের বছরে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় হতে পারে। তবে অর্থ মন্ত্রণালয় মনে করছে, মূল্যস্ফীতির চাপ সামাল দিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হবে।

অর্থমন্ত্রী কী বলছেন?

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন,

“নতুন পে-স্কেল নির্ধারণ করতে কিছুটা সময় লাগবে। ততদিন কর্মীদের আর্থিক চাপ কমাতে এই অস্থায়ী বিশেষ ভাতা দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত পর্যায়ে।”

প্রেক্ষাপট:

  • শেষ জাতীয় বেতন স্কেল ঘোষণা হয়েছিল ২০১৫ সালে

  • এরপর একাধিকবার মুদ্রাস্ফীতির হার বেড়েছে

  • ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ মাথাপিছু খরচ ও জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে

  • চাকরিজীবীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৃদ্ধির দাবি চলছিল

জনপ্রশাসনে স্বস্তির বার্তা

এই পদক্ষেপকে সরকার ইতিবাচক বার্তা দিতে চায়, বিশেষ করে আসন্ন বাজেটের আগে যখন জনগণের মধ্যে মূল্যস্ফীতি নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিশেষ সুবিধাটি সরকারি চাকরিজীবীদের মনোবল বাড়াবে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।


Post a Comment

0 Comments