WelCome To

1mnews01

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছে: প্রেস সচিব

Header Ads Widget

banner

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছে: প্রেস সচিব

মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছে: প্রেস সচিব

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতি নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনায় বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র— উভয়পক্ষই লাভবান হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি ইতিবাচক অর্জন, কারণ দেশটি তার বাণিজ্যিক সুবিধা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

শনিবার (২৩ আগস্ট) সকালে ‘ট্রাম্প টারিফ’ বিষয়ক এক সেমিনারে তিনি বলেন,

“মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে অনেকে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাতে তারা সফল হননি। আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে চাই। ইতোমধ্যে ক্রয় আদেশও বাড়তে শুরু করেছে।”

রফতানির ইতিবাচক ধারা

বাংলাদেশের রফতানি বাজার ইতোমধ্যেই বেড়েছে এবং আগামী দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প ও অন্যান্য রফতানি খাতে নতুন সুযোগ তৈরি হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়লেও বাংলাদেশের জন্য এটি সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।

আলোচকদের মতামত

সেমিনারের আলোচকরা বলেছেন—

  • জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইউরোপের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করতে হবে।

  • যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক হার আরও কমিয়ে আনার বিষয়ে কূটনৈতিক উদ্যোগ অব্যাহত রাখতে হবে।

  • বহুমুখী বাজার খুঁজে বের করা এবং পণ্যের মানোন্নয়ন এখন সময়ের দাবি।

মার্কিন শুল্ক কমানোর প্রেক্ষাপট

প্রথমে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছিল মার্কিন প্রশাসন। এতে রফতানি খাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তবে দীর্ঘ আলোচনার পর গত ৩১ জুলাই সেই শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বাংলাদেশের রফতানি খাত কিছুটা স্বস্তি ফিরে পায়।

উপসংহার

মার্কিন শুল্ক কমানো নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। তবে এর পাশাপাশি নতুন বাজার খুঁজে বের করা, বিদ্যমান বাজারে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং রফতানিযোগ্য পণ্যের মান উন্নয়নের দিকেও মনোযোগী হতে হবে।


Post a Comment

0 Comments