WelCome To

1mnews01

সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে টেনে ফেলে শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনের হত্যা: গ্রেফতার এএসআই মোহাম্মদ আলী

Header Ads Widget

banner

সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে টেনে ফেলে শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনের হত্যা: গ্রেফতার এএসআই মোহাম্মদ আলী

সাভারে পুলিশের সাঁজোয়া যান থেকে টেনে ফেলে শিক্ষার্থী আসহাবুল ইয়ামিনের হত্যা: গ্রেফতার এএসআই মোহাম্মদ আলী

গত বছর জুলাই মাসে ঢাকার সাভারে ঘটে যাওয়া একটি নৃশংস ঘটনায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় থাকা এক শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যান (এপিসি) থেকে টেনে-হিঁচড়ে নিচে ফেলে মৃত্যুর নিশ্চয়তা দেয়া হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম আসহাবুল ইয়ামিন, যিনি তখন রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

হত্যাকাণ্ড ও ঘটনার প্রেক্ষাপট

১৮ জুলাই ২০২৪ সালে সাভারে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের সময় আসহাবুল ইয়ামিন গুলিবিদ্ধ হন। এরপরই পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান থেকে তাকে টেনে নিচে ফেলে দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি দেশের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং ঘটনার নিন্দা প্রকাশ পায়।

গ্রেফতারের খবর ও তদন্ত

ঘটনাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হিসেবে দায়ের করা হয় এবং অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা এএসআই মোহাম্মদ আলীকে রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ছয়টায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানাধীন মুরাপাড়া এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ শাহীনুর কবির এ তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেছেন এবং বলেছেন, “এএসআই মোহাম্মদ আলীর গ্রেফতারে আমরা একটি বড় সাফল্য অর্জন করেছি এবং বিচার প্রক্রিয়ায় তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।”

আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায় বিচার আশা

আসহাবুল ইয়ামিনের মৃত্যুর পর এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে সামাজিক ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এবং ছাত্র সংগঠনসমূহ ন্যায়বিচার দাবি করেছে। এ হত্যাকাণ্ডকে বিচারহীন রাখা যাবে না বলেও তারা দাবি জানিয়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দ্রুত এবং সুষ্ঠুভাবে নিষ্পত্তির মাধ্যমে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার ও জাতিকে ন্যায়বিচার প্রদান করা হবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

সমাপ্তি

জুলাই আন্দোলনের স্মরণীয় দিনে ঘটে যাওয়া এই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন দেশের সামনে একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি চ্যালেঞ্জ। নিরপরাধ ছাত্রদের প্রতি সহিংসতার অবসান এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সঠিক বিচারব্যবস্থা গঠনই দেশের গণতান্ত্রিক মর্যাদা রক্ষা করবে।

আশা করা যায়, দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসহাবুল ইয়ামিনসহ সকল নিহতের পরিবার ন্যায়ের স্বাদ পাবেন এবং দেশের ছাত্র সমাজ শান্তি ও নিরাপত্তার আশ্বাস পাবে।

Post a Comment

0 Comments